শিশুর প্রথম দাঁত উঠলে করণীয়: সহজ টিপস ও পরিচর্যা
শিশুর প্রথম দাঁত ওঠা প্রতিটি বাবা-মায়ের জন্য এক বিশেষ আনন্দের মুহূর্ত। তবে এই সময়টা শিশুর জন্য কিছুটা অস্বস্তিকরও হতে পারে। দাঁত ওঠার সময় মাড়ির ব্যথা, চুলকানি, জ্বর বা পাতলা পায়খানা—এসব লক্ষণ দেখা দিতে পারে। সঠিক যত্ন ও পরিচর্যার মাধ্যমে শিশুর এই সময়কে অনেক সহজ ও আরামদায়ক করে তোলা সম্ভব।
দাঁত ওঠার সাধারণ লক্ষণগুলো কী কী?
সাধারণত শিশুর ৬ মাস বয়স থেকে দাঁত ওঠা শুরু হয়। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে এটি ৪ থেকে ১২ মাসের মধ্যে ঘটতে পারে। নিচে দাঁত ওঠার কয়েকটি সাধারণ লক্ষণ তুলে ধরা হলো:
✅ মাড়ি ফোলা ও লাল হওয়া
✅ অস্থিরতা ও কান্না
✅ সব কিছুতে কামড়ানোর চেষ্টা
✅ অতিরিক্ত লালা পড়া
✅ ক্ষুধামন্দা বা খেতে না চাওয়া
✅ হালকা জ্বর (তবে উচ্চ জ্বর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি)
✅ পাতলা পায়খানা
শিশুর দাঁত ওঠার সময় করণীয়: সহজ ও কার্যকর টিপস
১. ঠান্ডা কিছু কামড়াতে দিন
- ভেজা পরিষ্কার কাপড় ফ্রিজে ঠান্ডা করে দিন।
- শিশুর জন্য তৈরি ঠান্ডা টিদিং রিং বা খেলনা ব্যবহার করুন।
২. মাড়িতে আলতো করে মালিশ করুন
পরিষ্কার আঙুল বা গজ কাপড় দিয়ে আলতো করে মাড়িতে ঘষে দিন। এতে রক্ত চলাচল বাড়বে এবং ব্যথা কিছুটা কমবে।
৩. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন
- শিশুর মুখ ও চিবুক বারবার মুছে দিন, যেন লালচে র্যাশ না হয়।
- খেলনা বা যেসব বস্তু মুখে দেয়, সেগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করুন।
৪. ব্যথানাশক জেল বা ঔষধ ব্যবহার
- চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী টিদিং জেল ব্যবহার করতে পারেন।
- অতিরিক্ত ব্যথার ক্ষেত্রে পেডিয়াট্রিশিয়ানের নির্দেশে প্যারাসিটামল দেওয়া যেতে পারে।
৫. সলিড খাবার খাওয়ানোর সময় সতর্কতা
- ঠান্ডা ও নরম খাবার যেমন দই, আপেল সস বা নরম ফল দিন।
- শক্ত বা গরম খাবার এড়িয়ে চলুন।
৬. প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন
১০২°F এর বেশি জ্বর, গুরুতর ডায়রিয়া বা অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।
দাঁতের যত্ন শুরু থেকেই
- প্রথম দাঁত ওঠার পর থেকেই দিনে ২ বার নরম টুথব্রাশ বা কাপড়ে দাঁত ও মাড়ি পরিষ্কার করুন।
- ১ বছর বয়সের মধ্যে ডেন্টিস্টের চেকআপ করিয়ে নিন।